ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যের একটি প্রত্যন্ত জেলায় কয়লা খনিতে আটকে তিন শ্রমিক মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খনিটি বন্যায় প্লাবিত ছিল বলেও জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাতভর উদ্ধারকারী দলগুলো খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে। খনির ভেতরে মোট নয়জন শ্রমিক আটকে ছিলেন।
স্থানীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল এখন পর্যন্ত তিনটি মৃতদেহ দেখতে পেয়েছে কিন্তু এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আসামের পার্বত্য ডিমা হাসাও জেলার খনিতে সোমবার থেকে আটকা পড়েছিলেন নয় শ্রমিক। খবর পাওয়ার পরই তাদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য সেনা দল ডুবুরি, হেলিকপ্টার এবং প্রকৌশলী মোতায়েন করে।
দিমা হাসাও জেলা পুলিশ প্রধান মায়াঙ্ক কুমার রয়টার্সকে জানান, ‘গতকাল থেকে খনিটি বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। এর কারণটি অভ্যন্তরীণ। তারা (খনি শ্রমিকরা) সম্ভবত কাজ করতে গিয়ে ভেতরে কোন পানির উৎসতে আঘাত করার ফলে পানি বেরিয়ে আসে এবং খনিটি প্লাবিত হয়।’
কুমার বলেন, সেনাবাহিনী, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ ত্রাণ বাহিনীর উদ্ধারকারী দল আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনাবাহিনীর শেয়ার করা বেশ কিছু ছবিতে দেখা যায়, দড়ি, ক্রেন এবং অন্যান্য সরঞ্জামসহ উদ্ধারকর্মীরা ওই খনির পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।
ভারতের প্রত্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়লা খনিতে বিপর্যয় অস্বাভাবিক নয়। সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের একটি হলো ২০১৯ সালে পার্শ্ববর্তী রাজ্য মেঘালয়ে একটি অবৈধ খনিতে কাজ করার সময় কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। কাছের একটি নদীর জলে প্লাবিত হয়েছিল ওই খনিটি।