ফেলানী ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ভারতীয়দেরও বিচারের দাবি ফারুকের - বাংলা হাদিস

ফেলানী ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ভারতীয়দেরও বিচারের দাবি ফারুকের

ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিতে কিশোরী ফেলানী হত্যা ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ভারতীয়দেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক।

মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে লেবার পার্টি আয়োজিত ভারত আগ্রাসনের প্রতিবাদ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

 

বিএনপির এ নেতা বলেন, জুলাই বিপ্লব নস্যাৎ করতে ভারত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ এটা প্রমাণ করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে তাদের।
 
এ সময় ফারুক আরও বলেন, ষড়যন্ত্র পেছনে লেগে আছে, জাতীয় নির্বাচন যত দেরি হবে, সর্বনাশ ততই বৃদ্ধি পাবে। তাই অনতিবিলম্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আহ্বান জানাই।
 
আরও পড়ুন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত

উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১৪ বছর আজ। দেশ-বিদেশে আলোচিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার। বিচারিককাজ ভারতের উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকায় এখনও ন্যায় বিচারের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ফেলানীর বাবা- মা। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সাথে কাটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। এ ঘটনার দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ কোর্টে শুরু হয় এ হত্যাকাণ্ডের বিচার। ফেলানীর বাবা ও মামার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়া হয়। রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় বিচার দাবির পর দ্বিতীয় দফাতেও তাকে দেয়া হয় খালাস। পরে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন করে। এরপর বারবার শুনানির তারিখ পিছিয়ে সবশেষ ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য হলেও, তা আর হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *