সাহাবারা নবীজির আগমনের বার্তা পেয়ে কি করেন

সাহাবিরা রাসূল সা.-এর আগমনী বার্তা পেয়েই নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন। তারা বের হয়ে দেখতে পেলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি খেজুর গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন, সঙ্গে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।  আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রাসূল সা.-এর সমবয়সী ছিলেন। আনসার সাহাবিদের অধিকাংশই ইতোপূর্বে আল্লাহর রাসূল সা.-কে দেখেননি। আগ্রহের আতিশায্যে তারা দুজনকেই ঘিরে ধরলেন এবং অনেকে আল্লাহর রাসূল মনে করে আবু বকর রা.-কে সালাম দিতে শুরু করলেন।  আবু বকর রা. বিষয়টি অনুভব করতে পারলেন যে, অনেকেই তাকে ও আল্লাহর রাসূল সা.-কে চিনতে ভুল করছেন। তাই তিনি তাদের বিভ্রান্তি দূর করতে রাসূল সা.-এর মাথার ওপর একটি চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন। যাতে আল্লাহর রাসূল সা. গরম থেকে স্বস্তি পান এবং মদিনাবাসীর ভুল ভাঙে ও তারা সহজেই রাসূল সা.-কে চিনতে পারেন। সাহাবারা নবীজির আগমনের বার্তা পেয়ে কি করেন সাহাবিরা রাসূল সা.-এর আগমনী বার্তা পেয়েই নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন। তারা বের হয়ে দেখতে পেলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি খেজুর গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন, সঙ্গে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।  আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রাসূল সা.-এর সমবয়সী ছিলেন। আনসার সাহাবিদের অধিকাংশই ইতোপূর্বে আল্লাহর রাসূল সা.-কে দেখেননি। আগ্রহের আতিশায্যে তারা দুজনকেই ঘিরে ধরলেন এবং অনেকে আল্লাহর রাসূল মনে করে আবু বকর রা.-কে সালাম দিতে শুরু করলেন।  আবু বকর রা. বিষয়টি অনুভব করতে পারলেন যে, অনেকেই তাকে ও আল্লাহর রাসূল সা.-কে চিনতে ভুল করছেন। তাই তিনি তাদের বিভ্রান্তি দূর করতে রাসূল সা.-এর মাথার ওপর একটি চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন। যাতে আল্লাহর রাসূল সা. গরম থেকে স্বস্তি পান এবং মদিনাবাসীর ভুল ভাঙে ও তারা সহজেই রাসূল সা.-কে চিনতে পারেন।

আবু বক্কর এই পদ্ধতি অবলম্বনের ফলে কি হয় আবু বকর রা. এই পদ্ধতি অবলম্বনের ফলে সবার ভুল ভেঙে গেল। এবার তারা আবু বকর রা. ও আল্লাহর রাসূল সা.-এর মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারেন। আল্লাহর রাসূলকে স্বাগত জানানোর এই কাফেলায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ আনসার সাহাবি। তারা অত্যন্ত সম্ভ্রম ও সৌজন্যতার সঙ্গে রাসূল সা.-কে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন— হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আগমন করুন। এখানে আপনি সবকিছু থেকে নিরাপদ। আপনি যা বলবেন তাই শোনা হবে এবং মানা হবে।  রাসূল সা. সফরসঙ্গীকে নিয়ে এই কাফেলার একেবারে সম্মুখে থেকে রওয়ানা হলেন। রাসূল সা.-কে স্বাগত জানাতে পুরো মদিনা যেন ভেঙে পড়লো। সবাই তাকে স্বাগতম জানাতে তৈরি। নারীরা দালানকোঠার ছাদে উঠে এই কাফেলা দেখছিলেন এবং একে-অপরকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, এর মধ্যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে। মহানবীর হিজরতের সময় আনাছের বয়স মহানবী সা.-এর হিজরতের সময় আনাস রা. শিশু বয়সের ছিলেন। নবীজির আগমনকে কেন্দ্র করে মদিনাবাসীর এই উচ্ছ্বাস সম্পর্কে তিনি বলেন, যেদিন রাসূল সা. মদিনায় আগমন করেন আমি সেদিন উপস্থিত ছিলাম। আমি এর চাইতে সুন্দর ও আলোকোজ্জ্বল দিন আর কখনো দেখিনি।এরপর আমি আর কখনো মদিনায় এমন দৃশ্য দেখিনি। নবীজিকে স্বাগত জানাতে মদিনার পথে-ঘাট, চলাচলের রাস্তা, বাড়ির ছাদ, জানালা সব জায়গায় উৎসুক জনতার ভিড় ছিল। সেদিন, বৃদ্ধ, যুবক, তরুণ, কিশোর, মনিব-গোলাম সবাই বলে উঠেছিলেন, আল্লাহু আকবার, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসেছেন।  আল্লাহু আকবার মুহাম্মদ এসেছেন, আল্লাহু আকবার আল্লাহর রাসূল আগমন করেছেন। হজরত বারা ইবনে আজিব রা. তখন অল্প বয়স্ক শিশু ছিলেন। তিনি বলেন,  আমি রাসূল সা.-এর আগমনে মদিনাবাসীকে যেভাবে খুশি হতে দেখেছিলাম, অন্য কিছুতে তাদের এভাবে খুশি হতে দেখিনি। সেদিন দাস-দাসিরাও আনন্দের আতিশয্যে এই বলে চিৎকার করছিল যে, রাসূলুল্লাহ এসেছেন, আল্লাহর রাসূলএসেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *