সরিষা থেকে মধু আহরণ, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ - বাংলা হাদিস

সরিষা থেকে মধু আহরণ, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের চলনবিলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মাঠে চাষ হচ্ছে সরিষা। আর এসব ক্ষেতে বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন মৌচাষিরা। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনও ভালো। তবে সিন্ডিকেটের কারণে মধুর সঠিক দাম মিলছে না বলে অভিযোগ তাদের।

সিরাজগঞ্জের সদর, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, তাড়াশ, শাহজাদপুরসহ পুরো চলনবিল এলাকাজুড়ে চলছে সরিষা চাষ। যেন হলুদের চাদর মোড়ানো এসব এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। হালকা বাতাসেই দোল খাচ্ছে সরিষা ফুল।

 

আর এসব ক্ষেতে বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন মৌচাষিরা। পরে বিভিন্ন পাত্রে ভরে মধু পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনও ভালো। এতে খুশি মৌচাষিরা। তারা বলেন, প্রতিবছরই সরিষার মৌসুমে মধু সংগ্রহ করা হয়। মধু খাটি হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে কিনতে আসে মানুষ। চাহিদা ও বেচাবিক্রি বেশ ভালো।
  

সিরাজগঞ্জের দিগন্ত জোড়া হলুদ রাঙ্গা সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করছে মৌ মাছির দল।

 

তবে এক শ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে মধুর সঠিক দাম মিলছে না বলে অভিযোগ মৌচাষিদের। সিরাজগঞ্জ আদর্শ মৌ খামারের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, 

বাইরের দেশের মধু বাংলাদেশে ঠিকই আসছে। তবে দেশে উৎপাদিত মধু খামারিদের কাছ থেকে কম দামে কিনে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করছে  মধ্যস্বত্বভোগীরা। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খামারিরা।

 

 
সরিষা ক্ষেতে মৌবাক্স থাকায় ফুলের সঠিক সময়ে পরাগায়ন হচ্ছে। এতে সরিষার উৎপাদন ভালো হবে বলছে কৃষি বিভাগ। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, সরিষার উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। সেজন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
 
এদিকে, কয়েক বছর ধরে সরিষা চাষে চাহিদা অনুযায়ী মিলছে কাঙ্ক্ষিত ফল। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের। তারা বলেন, বাজারে সরিষার দাম ভালো হওয়ায় লাভ হচ্ছে। এতে দিন দিন সরিষা আবাদে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে।
 
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর সিরাজগঞ্জে সরিষার আবাদ হয়েছে প্রায় ৮৭ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে। যা থেকে মধু সংগ্রহ হবে প্রায় ৩৮২ মেট্রিক টন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *